ঈদ এলেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে নামে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ঢল। নাড়ির টানে ঘরে ফেরার প্রতিযোগিতা শুরু হতো ভোরের আলো ফোটার আগে। সবার হুড়োহুড়ি লেগে যেত কার আগে কে ফেরিতে উঠবে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেতুর পার্শ্ববর্তী এই ঘাটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সেই নিষেধা
ঈদের আগে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারের ব্যবস্থা করতে চাইছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত নৌপথে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচলসংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তথ্য জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খা
নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোটসহ সকল যাত্রীবাহী নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদ্মা সেতু চালুর পরেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুট চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ শনিবার মাদারীপুর ঘাট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।
ঈদের লম্বা ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে গেছেন অধিকাংশ মানুষ। তাই যানবাহনের চাপ কমেছে মাঝিরঘাট ফেরি ঘাটে। দীর্ঘ সময় ঘাটে অপেক্ষা করে যানবাহনের অভাবে মাঝিরঘাট থেকে খালি ফেরি যাচ্ছে শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে। তবে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের চাপ থাকায় অনেকেই পদ্মা পার হচ্ছেন ফেরিতে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। বিভিন্ন স্থান থেকে সকাল ৭টার পর বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকের শনিবার অফিস থাকায় একদিন আগেই ঢাকায় যাচ্ছেন। আর শনিবার থেকে লঞ্চগুলোতে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাঝিরঘাট যাওয়ার সময় পদ্মা সেতুর প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্বদিকের একটি চরে আটকা পড়ে ফেরি ফরিদপুর। রোববার দিবাগত রাতে ঝড়ের কবলে পরে মাঝ পদ্মায় চরে আটকা পড়ে ফেরিটি ফরিদপুর। ৩ ঘণ্টা আটকা থাকার পর আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উদ্ধার হওয়া ফেরিটি শরীয়তপুরের মাঝিরঘাটে নিয
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ভোগান্তি কমছে না। গত বছর ঈদে এই নৌপথে চলে ১৭টি ফেরি। এবার চলবে সাতটি ফেরি। বর্তমানে চলছে সাত ফেরি। একই সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা ফেরি চালু থাকায় বিপাকে পড়তে পারেন এই নৌপথে চলাচল করা যাত্রীরা। অন্যদিকে পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকায় পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে চালকেরা ফ
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ সামলাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে লঞ্চ চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে। বাড়ছে চারটি ফেরি, স্থাপন হচ্ছে নতুন একটি ঘাট।
শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথে বর্তমানে সাতটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের কারণে ঘাটে চাপ কম থাকলেও ঈদে পাল্টে যাবে চিত্র।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথে মাঝিরঘাটে নতুন করে আরও একটি ফেরিঘাট নির্মাণ করা হবে। ২৮ এপ্রিলের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-জাজিরার মাঝিরঘাট নৌপথে ২৪ ঘণ্টাই চলছে ফেরি। এ পথে নিয়মিত ব্যক্তিগত ও জরুরি যানবাহনের সঙ্গে ছোট পণ্যবাহী যানও পারাপার করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু এড়িয়ে এ নৌপথে স্থায়ীভাবে ফেরি চালানোর জন্য ঘাট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও স্থানীয়
শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট এলাকার পাইনপারা চ্যানেলে নাব্য সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিমুলিয়া মাঝিরঘাট নৌরুটে ফেরি চলাচল। সঙ্গে রাতে ঘন কুয়াশা। এতে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকছে ফেরি চলাচল। ফলে প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে মাঝিরঘাট ফেরি ঘাটের যানবাহনের সারি। ভোগান্তিতে পড়েছেন এই পথের যাত্রীরা।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে লঞ্চ-স্পিডবোট চলাচল শুরু করে। এর আগে ভোর থেকে কুয়াশার মাত্রা বেশি থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল নৌরুটে।
পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে একাধিকবার ফেরির ধাক্কা লাগাসহ অন্যান্য দুর্ঘটনা এড়াতে দীর্ঘদিন শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ৪টি ফেরি দিয়ে হালকা ও মাঝারি যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল সচল করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার সঙ্গে শরীয়তপুরের ছাত্তার মাদবর মাঝিরঘাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এই নৌপথে দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচলের
মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া (মাওয়া) এবং মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার নৌ-রুটে পরীক্ষামূলকভাবে ‘ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল’ চালানো হয়। আজ সোমবার সকাল ১০টায় ২টি ছোট গাড়ি ও ১৭টি মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া (মাওয়া) ফেরিঘাটের ৩ নম্বর ঘাট হতে এটি বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়